দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের সতর্ক করে বলেছেন,‘নির্ধারিত দোকানের বাইরে এবং নকশাবহির্ভূত কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে দেওয়া হবে না। কারণ অতীতে দোকানের ভেতরে, দোকানের বাইরে সিড়িতে, গাড়ি পাকিংয়ের জায়গায়, টয়লেটের জায়গায়, লিফটের জায়গায় এবং বারান্দায় অসংখ্য দোকান বানানো হয়েছিল।’
মঙ্গলবার (২৯ অগাস্ট) নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় বরাদ্দপ্রাপ্ত ৬০২টি দোকানের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফ্ফার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আমি সবসময় বলে থাকি, আপনারা আমাদের অংশীজন এবং আপনারা যারা বরাদ্দ পাচ্ছেন, যারা দোকানে ব্যবসা করছেন তারা আমাদের অংশীজন। আমাদের মার্কেটের অংশীজন। সুতরাং আপনাদের যে কোনো সমস্যা দেখার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু সেখানে একটাই পরিষ্কার শর্ত। সেটা হলো — আমাদের আইন, আমাদের নীতিমালা পরিপালন করে আপনারা কাজ করবেন। দোকানের মধ্যে দোকান করবেন না। দোকানের বাইরে দোকান করবেন না। নকশাবহির্ভূত কোনো অবকাঠামো করবেন না। সময়সূচির যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম পালন করবেন। তাহলে আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এবং আপনারাও সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’
এ সময় বরাদ্দপ্রাপ্তদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা যথা নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করবেন। যথা নিয়মে ট্রেড লাইসেন্স করবেন। ঢাকা শহরে আটটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। সে বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন এবং রাত আটটার পরে দোকান বন্ধ করে দিবেন।’
মেয়র শেখ তাপস বলেন,‘মানুষ আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আসতে ভয় পেত। এখন সে পরিস্থিতি নেই। মানুষ স্বাচ্ছন্দে আসে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যায়। রাজস্ব বিভাগ একসময় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বিভাগ ছিল। এখন সবচেয়ে সৎ বিভাগ হলো রাজস্ব বিভাগ। এর সুফল এখন আপনারা পাচ্ছেন। একসময় দোকান বরাদ্দ কমিটির নাম শুনলে মানুষ আঁতকে ওঠতো। ওখানে (বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়) গেলেই যাবে এক রকম, হবে আরেক রকম। কিন্তু এখন আইন অনুযায়ী যাবে আইন অনুযায়ী সেটা হবে।’ #কাশেম