নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমসহ ৮জনের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে দুদকের মামলায় চার্জ গঠন শুনানি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন বিচারিক আদালত। মামলার অপর আসামীরা হলেন, রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভুঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামী অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম চার্জ গঠন পেছানোর আবেদন করেনন। পরে আদালত আসামীর পক্ষে করা আবেদন মঞ্জুর করে ২০ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮জনকে আসামী করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার। পরে মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সেলিনা আখতার।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে এই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার।
১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় সেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটির হাত বদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক
কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়। #