দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবল লীগের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে ক্ষমতার অপব্যবহার,দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৯ আগস্ট ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ফুটবল ফেডারেশনের অন্ত:ভুক্ত ক্লাবসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের। প্রাপ্ত ওইসব অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকেও গত মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের এ কর্মকর্তা। অবশ্য আবু নাঈম সোহাগ গত মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ের গেটে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাফুফে কোন আর্থিক দুর্নীতি হয়নি। না। প্রথমত বাফুফে থেকে যে কেনাকাটা হয়েছে, সেটা বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে হয়নি, দ্বিতীয়ত বাফুফে পণ্য বা সেবাগুলো বুঝে পেয়েছে এবং তৃতীয়ত ফিফার নিয়মকানুন মেনে ক্রয় করা হয়েছে। অর্থাৎ ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে ফিফা বেশকিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
অথচ দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে ফিফা। তখনই বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও দাবি ওঠে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১৫ মে হাইকোর্টের আদেশে আগামী চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিসহ সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। # কাশেম