দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্য এবং প্রকল্প নির্ভর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মোটা অংকের বাজেট ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ বাজেটের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্য ও প্রকল্প নির্ভর ভিত্তিক বলেছেন মেয়র।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১ হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিজস্ব উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আর সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ পাবার প্রত্যাশা ৬৫ কোটি টাকা।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ডিএসসিসি নগরভবন মেয়র হানিফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সামগ্রিক প্রচেষ্টা এবং সবার সহায়তায় গত (২০২২-২৩) অর্থবছরে ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। যারফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১ হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পনির্ভর হতে হয়নি। নিজস্ব অর্থায়নেই প্রায় ৩৯০ কোটি ১৬ লাখ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি বলেন, আগামী দিনে আরও বৃহৎ পরিসরে ঢাকাবাসীকে সেবা প্রদান করতে বেশি আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করেন। এরমধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৫১২ কোটি, বাজার করা সালামি বাবদ ২০০ কোটি, বাজার ভাড়া বাবদ ৪০ কোটি, বিজ্ঞাপন কর বাবদ ৩০ কোটি, বাস-ট্রাক টার্মিনাল ইজারা থেকে ৩০ কোটি, অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা বাবদ ৩০ কোটি, ইজারা (টয়লেট, পার্কিং, কাঁচাবাজার, ভাগাড় ইত্যাদি) বাবদ ৩০ কোটি, রাস্তা খনন ফিস বাবদ ৬৫ কোটি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর খাতে ১৭৫ কোটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে আয় বাবদ ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়াল সেতু থেকে ১৫ কোটি, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের ভাড়া বাবদ ১০ কোটি, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ৫ কোটি টাকা আয় করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, এছাড়াও সরকারি মঞ্জুরি থোক থেকে ৪০ কোটি ও সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি বাবদ ২৫ কোটি। মেয়র বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে মশা নিধনে ৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নিধন কার্যক্রমে কীটনাশক, পরিচালনা, যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ বাবদ মোট ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এবার সেতুলনায় ১১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ বেশি রাখা হয়েছে।
মেয়র বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ ৩০০ কোটি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৭৯ কোটি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সরবরাহ বাবদ ৬০ লাখ ৬৯ কোটি, মশক নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশক বাবদ ৩৮ কোটি ৫০ লাখ, ভাড়া, রেটস ও কর খাতে ১১ কোটি ২৫ লাখ, কল্যাণমূলক ব্যয় বাবদ ১৩ কোটি ৮৭ লাখ, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বাবদ ৪ কোটি ৬০ লাখ, ফিস বাবদ ৯ কোটি ৭৫ লাখ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ ৩০ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। # কাশেম