দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
৩০জুলাই(রোববার) নগর ভবনে কাউন্সিলরবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন। মেয়র বলেছেন,এই পুর মৌসুমে আমাদের এই কার্যক্রম (ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিচালিত কার্যক্রম) চালিয়ে যেতে হবে, আমরা চালিয়ে যাব। আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে মাধ্যমে আমরা সকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের এই চলমান কার্যক্রম তদারকি করে থাকি, সেজন্যই আমরা কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। অনেকেই ঢালাওভাবে অনেক মন্তব্য করেন। কিন্তু আমরা যদি গত সাত দিনের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
গত ২২ শে জুলাই ২০০২৩ সাল থেকে ২ হাজারের ঊর্ধ্বে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ২২ তারিখে সারা বাংলাদেশে ২ হাজার ২৪২ জন রোগী পাওয়া গেছে। সেখানে আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫৫ জন রোগী আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ১৫৫ জনের ঠিকানাতে, স্থাপনাতে কার্যক্রম (ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও তৎসংলগ্ন আশপাশের ৪০০ গজের মধ্যে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে) নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য স্থাপনাতেও কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ২৩ তারিখে দেশব্যাপী রোগী ছিল ২ হাজার ২৯২ জন। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২২ জন। ২৪ তারিখে সারাবাংলাদেশ ২ হাজার ২৯৩ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রোগী ১৩৩ জন। ২৫শে জুলাই সারাদেশে ২ হাজার ৪১৮ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় ১২২ জন। ২৬ শে জুলাই ২ হাজার ৬৫৩ জন — সারা দেশব্যাপী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২৩ জন। ২৭শে জুলাই সারাদেশে ২ হাজার ২৬১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১০০ জন।
আমাদের কার্যক্রম যে সফল হয়েছে, ঢাকাবাসী যে সুফল পাচ্ছে — এটি তারই নিদর্শন। আমরা এই পর্যায়ে আমাদের রোগীর সংখ্যা ১০০-১৫০ এর ঘরে রাখতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সকল কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আমাদের কর্মীবাহিনী নিরলস পরিশ্রম করছে। সেজন্য আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমরা পুরো মৌসুমে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
ডেঙ্গু রোগ শুধু আমাদের দেশে আছে তা নয়, শুধু ঢাকায় আছে তা নয়। এটা অন্যান্য দেশেও আছে। সকল ট্রপিক্যাল কান্ট্রি, সকল দেশেই এই রোগ আছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এই রোগ আছে। সুতরাং বহির্বিশ্বের প্রেক্ষাপটে আমাদের কর্মপরিকল্পনা যেভাবে সাজিয়েছি, এটি সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সিটিসি কর্তৃক সুপারিশকৃত — যে সোর্স রিডাকশন তথা উৎসস্থল বিনষ্ট করতে হবে, ধ্বংস করতে হবে। পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। পানির উৎস ধ্বংস করতে হবে। # কাশেম