নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) রংপুরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৪ টাকা মূল্যের ১৪৫,২৮০ মেট্রিক টন সার আত্মসাতের অভিযোগে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। অভিযুক্ত বিএডিসি’র কর্মকর্তা বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত। তার বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বীত রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. বেলাল হোসেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি আর জানান, মামলায় উল্ল্খে করা হয়েছে, বিএডিসি’র রংপুর কার্যালয়ের সরকারি পরিচালক মাশরুর বারেক (সার) লিখিতভাবে গত ২৫ এপ্রিল দুদকের অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএডিসির রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক মো. শামসুজ্জামান ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গত ৫ মার্চ পর্যন্ত সারের গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। বিএডিসির প্রধান কার্যলয় সার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে গাঠত বিশেষ ট্রাস্কফোস গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রæয়ারি তদন্ত করেন। তদন্তকালে রংপুর সার গুদামে সার গণনাকালে ৩ দশমিক ১৫ টন টিএসপি, ১০ দশমিক ৯৪ টন এমওপি সার ঘাটতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১৪ দশমিক ৩৭ টন ডিএপি সার মজুত অতিরিক্তসহ কিছু গরমিল পাওয়া যায়।
মজুত সারের গরমিলের কারণে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামসুজ্জামানকে গত ৫ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিনই নির্দেশ পরবর্তী মো. শামসুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬টায় সারের গুদাম সিলগালা করা হয়। এরপর গত ১৭ মার্চ আবারও সার গণনাকালে দেখা যায় খামালের বাইরের দিকে বিন্যাস সাজানো আছে, খামালের ভেতরে সেই বিন্যাসের স্তর নেই।
এছাড়াও খামালের ভেতরে বস্তা খাড়া করে খালি জায়গা তৈরি করা হয়েছে, ফলে খামাল সাজাতে কম বস্তুা ব্যবহার করে পুর্ণাঙ্গ খামাল দেখানো হয়েছে। এভাবে প্রকৃত মজুতের চেয়ে টিএসপি ৮১ দশমিক ৭০০ টন, এমওপি ৪৭ দশমিক ৮১০ টন ঘাটতি এবং ডিএপি ১৫ দশমিক ৭৭০ টন ঘাটতিসহ মোট ১৪৫ দশমিক ২৮০ টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। যার মোট আমদানি মূল্য এক কোটি ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৪ টাকা।এ অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়। # কাশেম