দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদকে নির্বাচিত উল্লেখ্য করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে রিট আবেদন আপিলেও খারিজ হয়েগেছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের এই আদেশ দেন।
এদিকে গণমাধ্যমকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মের্শেদ এই তথ্য পরিবেশন করেন। তিনি বলেন, চেম্বার বিচারপতির আদেশের পর এখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইনগত কোনো বাধা নেই এবং সাংবিধানিকভাবে দে মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতেও কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদকে মনোনীত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রজ্ঞাপন জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিতের বিষয়ে দায়ের কার রিট হাইকোর্টে সরাসরি খারিজের পর আপিল বিঘের চেম্বার জজ আদালতও খারিজ করেছেন। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইনগত কোনো বাধা নেই এবং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির শপথ নিতেও কোনো বাধা নেই। # কাশেম
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান। নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টর এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান, সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সায়েম মোহাম্মদ, মো. মুজীবুর রহমান (সম্রাট)।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ এ নিয়ে করা পৃথক দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বে রিট দুটি খারিজ করেন। ফলে রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ বলে ওই দিনই জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
একক প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ ফেব্রæয়ারি নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ ছয়জন ১২ মার্চ আরেকটি রিট করেন। পরে দুটি রিটের ওপর শুনানি শেষে ১৫ মার্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। # কাশেম