দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
‘ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের’ বিরুদ্ধে ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে অর্থ পাচার এবং এনআরবি গ্লােবাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানের নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই দুইটি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংরক্ষিত নথিপত্র তলব করেছে দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপপরিচালক মোনায়েম হোসেনের স্বাক্ষরে রেকর্ডপত্র চেয়ে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।ওই চিঠি এনআরবি গ্লােবাল ব্যাংক লিমিটেড, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।গণমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র মতে, দুদকের প্রাপ্ত অভিযোগে ‘ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের’ পরিচালকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বড় বড় সরকারি কাজ করা,বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির নামে ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে অর্থ পাচার করা এবং এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
তলবকৃত নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে- তমা গ্রুপ অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে এনআরবি গ্লােবাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে যে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত মঞ্জুরিপত্র। ঋণ অনুমোদনের পর থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চার্জ ডকুমেন্টের ফটোকপি, মর্টগেজ ও স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের ভ্যালুয়েশন সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং আইনগত মতামত ও গ্রহীতা কর্তৃক মজুরিপত্রের গ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত কপি।
অপরদিকে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অধীনে ২০১৮ সালের আগে ‘তমা গ্রুপ তথা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তমা কন্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানির সব টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়েছে তার তালিকাসহ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রকল্প প্রাকশন, অর্থ বরাদ্দপত্র দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দর প্রস্তাব, দরপত্র উন্মুক্তকরন শিট, দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, কার্যাদেশ, চুক্তি, পরিমাপ বহি, চূড়ান্ত বিল ভাউচার-চেক ইত্যাদি যাবতীয় রেকর্ডপত্র।
এছাড়া আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত কপি সরবরাহ করতে অনুরোধ করেছে দুদক টিম। #