দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
প্রাকৃতিক সৌন্দযের লিলাভূমি বান্দরবানের পাহাড়ের পরিবেশ ও বায়ুদূষণকারী অবৈধ ২৭টি ইটভাটা উচ্ছেদের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওইসব ইটভাটার মালিকদের পক্ষ থেকে করা রিট আবেদনের ওপর আগের জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের ফলে বান্দরবানে ২৭ ইটভাটা উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বে বান্দরবানে ২৭ ইটভাটা উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে নির্দেশনাসহ এই রায় দেন।
আদালতে আজ ইটভাটা মালিকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আদালতের বাইরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বান্দরবানের পাহাড়ে থাকা ইটভাটার ২৭ মালিক ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করে দুই বছরের মধ্যে স্থানান্তরে সময় পান। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩-এর ৮(৪) ধারার বিধান অনুসারে এ সময় দেওয়া হলেও মালিকরা ৬-৭ বছরেও তা স্থানান্তর করেননি। পরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার সংবাদ গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়।
সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ইটভাটা বন্ধ করতে গেলে এসব মালিক হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা দেখান। এ কারণে তাদের উচ্ছেদ করা যায়নি। এরপর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানান।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল খারিজ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রায় দেন। আদেশে আদালত বিবাদীদের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এলাকায় পাহাড়ের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ রায়ের ফলে ওই ২৭ ইটভাটা উচ্ছেদে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি আরও জানান, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ও ৫ ধারা অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা করা অবৈধ। নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা পরিচালনা নিষিদ্ধ থাকলেও মালিকরা তা পরিচালনা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলেও বিবাদীরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। #