দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্মার্ট সিটি গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত প্রবাসী বাঙালিদের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। প্রবাসীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুয়ার ২৪ ঘণ্টা খোলা। যে কোন নতুন কনসেপ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রবাসে থেকেও করতে পারেন আবার কেউ চাইলে দেশে ফিরে কাজ করতে পারেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি কর্পোরেশনের কাজ ডিএনসিসি থেকেই শুরু করতে চাই।
সোমবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গত ২৩ জানুয়ারী স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুল জেনারেল অফিসে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমান, কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, কাউন্সিলর মিতু আক্তার, এছাড়া ফ্লোরিডা ও আশপাশের সিটির আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীগণ। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অনেকেই দেশে তাদের মেধার বিকাশ তুলে ধরার সুযোগ চান।
আমেরিকা প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোন কিছুর গবেষণা না থাকলে টেকসই উন্নয়ন হবে না। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। ডিএনসিসিতে ট্যাক্স সেবা অনলাইনে শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অনলাইন চালু হওয়াতে দুষ্টু লোকদের অবৈধ লেনদেন বঞ্চিত হয়েছে। তাই সেবাটি চালু করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অনেক কষ্ট করছেন। পদে পদে বাধা তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরাও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘রাজউক ও ডিপিডিসির ডাটা বেইজ সংগ্রহ করা হবে। সেই ডাটা বেইজ সমন্বয় করে বাসা বাড়ির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তখন আর কেউ রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারবে না। আমরা ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে চালু করেছি। রিকশার জন্য কিউআর কোড চালু করতে যাচ্ছি। আমরা অনেক কিছুতেই স্মার্ট বাংলাদেশের ছোয়া দিতে শুরু করেছি। স্মার্ট সিটি গড়তে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশের যে যেখানে গবেষণা কাজ করছেন বা যাই ভালো কিছু করছেন সবাই দেশের জন্য কিছু করতে চান। ডিএনসিসিতে যে কোন ভালো চর্চা যদি কেউ করতে চান সেই সুযোগ আমি দেবো। এমনও হতে পারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিতে পারেন। আপনাদের সহযোগিতায় নগরবাসীর জন্য নতুন কিছু করতে চাই। দেশ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সিটি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যে কোন সময় নতুন কোন ধারণা থাকলে যোগাযোগ করবেন।’
এসময় ডিএনসিসির প্রতিনিধি দলের যুক্তরাষ্ট্রে সফরের বিষয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে আমরা ফ্লোরিডার মিয়ামিতে কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এখানকার ভালো চর্চা দেশেও বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা এখানে শিখতে এসেছি, ঘুরতে নয়। প্রতিটি বিষয়ের উপর গুরুত্বসহকারে শেখানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে নগর ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পদ্ধতি, মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আহরণ পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রতিনিধি দল ফ্লোরিডার মিয়ামিতে সফরে রয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। # কাশেম