সর্বশেষঃ
শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাগর-রুনির সন্তানকে রাজউকের পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর সাবেক কর পরিদর্শক বারী ও স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা বিশ্ব মশা দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা, ডিএনসিসিতে আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু মেয়ের জন্য খাবার খুঁজতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে প্রাণ গেল ফিলিস্তিনি বাস্কেটবল তারকার ডিসি–এসপি পাথর লুটের টাকার ভাগ পেতেন, জড়িত আছে আরো ৪২ নেতা ও ব্যবসায়ী বিচারক ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও আর নেই ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ কয়েকজন আহত ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে জনপ্রিয় তারকারা
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন

৪৫৯ বাংলাদেশির দুবাইয়ে সম্পদ, রিটের শুনানি ১৫ জানুয়ারি

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক

আগামী ১৫ জানুয়ারি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অর্থসচিব, বাণিজ্য সচিব,পররাষ্ট্র সচিবকে।

উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাাস। অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটের সম্পুরক আবেদনের ওপর শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে একই দিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবির নন্দি দাস ।

গত ১১ জানুয়ারি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার কোটি টাকার প্রপার্টি সংক্রান্ত গণমাধ্যমে আসা সংবাদের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। গত ১০ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।

২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত ও দুবাইয়ে চলছে কালো টাকার ছড়াছড়ি। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে অবৈধ টাকা প্রবেশ করছে। অভিযোগ উঠেছে কালো টাকার মালিকদের আশ্রয় দেওয়ার। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশটিতে বিনিয়োগ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদেশগুলো থেকে আমিরাতকে কালো তালিকায় রাখার দাবি উঠেছে। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।

রাজনীতিবিদ ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জোরালো হয়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রাশিয়ার ধনীদের পর্যবেক্ষণে দেশটি ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমারা। এরপরই রাশিয়ার ধনীরা দুবাইতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সম্পত্তি কেনা শুরু করে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক বিল ব্রাউডার বলেছেন, দুবাই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থের জন্য একটি নিরাপদ স্থান। তাই দুবাইয়ের ওপর এখনই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন ও এর নেতাদের যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা উচিত।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। এ তালিকায় এবার বিল ব্রাউডারও নাম লিখেয়েছেন। গত মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি দল ইউরোপীয় কমিশনার মাইরেড ম্যাকগিনেসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে দিয়েছেন। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কালো তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

ওই খোলা চিঠিতে সই করা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য কিরা পিটার-হ্যানসেন গত ১১ মে এক টুইটে বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থ পাচারের তালিকায় আসতে দুবাইয়ের আর কত কেলেঙ্কারি লাগবে?

পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রুশ ধনীরা ব্যক্তিগত জেট ও ইয়ট দুবাইয়ের মতো জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন। বলা হচ্ছে রাশিয়ার অলিগার্কদের জন্য দুবাই হচ্ছে স্বর্গ। এমন খবর সামনে আসর পরই ওই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বড় মাত্রায় অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা মেনে নেওয়া যায় না। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12