দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দুই মহাব্যবস্থাপকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপিসি’র অভিযুক্ত তিনজন হলেন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) এটিএম সেলিম, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মণি লাল দাশএবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক।
দুদকের দৈনিক ও সা¤প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স¤প্রতি কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডলের সই করা এক চিঠিতে বিপিসি’র ওই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক সূত্র মতে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে দাখিলকৃত অভিযোগটি অনুসন্ধান করার জন্য তদন্ত-১ এর মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিপিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া গত বছর ৬ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিপিসি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জবাব চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে অডিটর জেনারেল ও বিপিসি’র চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।একইসঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন, অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে আদেশের বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বি ত হয়েছে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে। বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে। বিপিসি’র আরও অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার লোপাট,নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবেধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। #