দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা প্রায় ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আদালত সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দিয়েছেন। আদালত একই সঙ্গে ঢাকা কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১৯ জানুয়ারির মধ্যে উক্ত দুই আসামীল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগের জারি করা তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন উক্ত আদালত। এরপর ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তিনি বলেন,২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ছিলেন আদালত।
দুদকের মামলায় উল্লেখ রয়েছে, তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে তাদের ঘোষিত বৈধ আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের সততা পেয়েছে দুদক। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এসব সম্পদ অর্জনর অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামী করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় (চার্জশিট) অভিযোগপত্র।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ২০০৮ সালে এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বে লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। #