দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
এমজিএইচ গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং ১৩৬ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলার তদন্তে আরও অনেক চা ল্যকর তথ্য উপাত্ত¡ সংগ্রহে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আগের প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত¡সহ আরও নতুন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টায় রয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের সূত্র মতে, গত ২৮ ডিসেম্বর কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২ও ৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। দুদক কর্মকর্তা মামলা দায়েরের আগে অভিযুক্ত আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত নানা অভিযোগের তথ্য উপাত্ব যাচাই বাছাই করে প্রাথমকিভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ চলতে থাকে অভিযুক্ত আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান। পরে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলামের দাখিল করা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কমিশন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেন।
দুদকের মামলায় উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত আনিস আহমেদ গোর্কি ১৩৬ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখেছেন। শুধু তাইনয়, তিনি এসব অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করেছেন। যাহা দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুুদকে অভিযুক্ত আনিস আহমেদ গোর্কির দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে মোট ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৬ টাকার সম্পদের হিসাব পেশ করেছেন। এই পরিমাণ অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত অর্থ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি এসব অর্থের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ও সন্তোষজনক রেকর্ডপত্র, তথ্য, প্রমাণাদি কমিশনে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনুসন্ধানকালে তার ওই অর্থের বৈধ উৎস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত আনিস আহমেদ অবৈধভাবে অর্জিত ১৩৬ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। যা দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আনিস আহমেদ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৬ টাকার সম্পদের হিসাব পেশ করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর সম্পদ ১২১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৭ টাকার ও অস্থাবর সম্পদ ৩২১ কোটি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৮৯ টাকার। এই হিসাব যাচাই করে স্থাবর-অস্থাবর ৪৪০ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তার নামে ভাড়া বাবদ অগ্রিম ২১ কোটি ৮৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ঋণের স্থিতি এক লাখ ৬৪ হাজার ২৭১ টাকাসহ মোট ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ১২৩ টাকার দায়-দেনা, ঋণব্যতীত নীট সম্পদ পাওয়া যায় ৪১৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৩ টাকা।
২০০৮-২০০৯ ও ২০২১-২০২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ মোট ৫৩ কোটি ৬১ লাখ দুই হাজার ২৪৭ টাকা খরচের হিসাব পাওয়া যায়। তার পারিবারিক ব্যয়সহ অর্জিত ৪৭২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬০ টাকার সম্পদের বিপরীতে ২০০৮-২০০৯ ও ২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এএএএএ ধারায় ১৩৬ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা আয়ের তথ্য দেন।এজাহারে আরও বলা হয়, আনিস আহমেদ ২০২০-২০২১ করবর্ষে তার আয়কর নথিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ১৩৬ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ বৈধ উৎস্য দেখাতে পারেনি বলে এই পরিমাণ অর্থের সম্পদ অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়। # কাশেম