দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সরকার মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচারকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ওইসবদেশের সঙ্গে দুদক চুক্তি করতে চায়। উল্লেখ্য ৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে; কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বে বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচারের মামলার আসামী মোহাম্মদ আলীর জামিন আবেদনের শুনানিকালে এ মন্তব্য করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামী পক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন।
আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে কারণে বিচারও শেষ হচ্ছে না।
তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রæ। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না? এ সময় দুদককে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। আদালত বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত, এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
পাশাপাশি আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ তথ্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে পেশ করতে নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি অর্থপাচারের ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে ৬১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেছেন,বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পারস্পরিক আইনি সহায়তার জন্য ৮টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে খসড়া চুক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করবে।
দুদক পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করতে চায়। #