দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন সাড়ে ৩৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের দুদকের দুদকের করা মামলার ক্রার্যক্রম বিচারিক আদালতের চলার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুদকের মামলা বাতিলের জন্য সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূণাঙ্গ বে এই আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবী বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা মডেল থানায় সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অজনের অভিযোগে একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। পরে এই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আবেদন করেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ এ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে এই মামলাটি। পরে আবার আসামীর পক্ষ আপিল বিভাগে মামলাটি বাতিলের জন্য আবেদন জানানো হয়। আজ এই আবেদনটিও খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ সালের ১৪ মে মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগ গঠন হয় ২০০৮ সালের ১৬ জুন। ট্যাক্স আইনে বিচার হওয়ার পরও ফের দুদকের মামলায় কেন বিচার হচ্ছে মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে এমন অভিযোগ দায়ের করে। তবে হাইকোর্ট ২০১৮ সালে তার আবেদন খারিজ করে দেন। দুদক বলছে— নিয়মিতভাবে মামলা চললে দ্রæত এ মামলার বিচার শেষ হবে। এ মামলায় এরই মধ্যে নি¤œ আদালতে ৪৪ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। #