দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের বিপরীতে কাজ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্নীতি দমনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সততার সঙ্গে আরও বেশি কাজ করতে হবে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ও জনগণের কাছে দুদকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন,বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মা তখনই শান্তি পাবে যখন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কথা বলেছেন, আমরা আজও একই কথা বলছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মা কিভাবে শান্তি পাবে আমরা জানি না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যার পর খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে এটি হয়েছে। দেরিতে হলেও আমাদের সুপ্রিমকোর্ট ইনডেমনিটি বাতিল করেন। এদেশে এ জঘন্য হত্যার বিচার হয়েছে। অপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে। দেরিতে হলেও ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। তবে হত্যার পেছনে কারা ছিলেন, সেটা জাতির সামনে আসা উচিত। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক।
দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন, যার মধ্যে তিনি প্রায় ১৩ বছর জেলে ছিলেন। এ অল্প সময়ে তিনি যেভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন ও যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা অভাবনীয়।‘আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর এ ত্যাগ মনে ধারণ করি, তার দেখনো পথে চলতে পারি ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যার যার পর্যায় থকে দেশের জন্য সঠিকভাবে কাজ করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবো।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেন মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মীর রুহুল আমিন। বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আর্থ সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের প্রেক্ষাপটে আমাদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি সম্পর্কে আলোচনা করেন পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. মনিরুজ্জামান খান ও বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায় সম্পর্কে আলোকপাত করেন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোক জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। # কাশেম