দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাতসহ আরো নানা অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তৈরিকরা অভিযোগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন আমলে নিয়েই গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, ‘ দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলে আপনার জানতে পারবেন এর সঙ্গে কারা এবং কি ভাবে সম্পৃক্ত। পরিচালনা পর্ষদের সবার কাছে থেকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তথ্য নেবেন। যে বিধিবিধান রয়েছে সে মোতাবেক অনুসন্ধান কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেবেন।
দুদক সচিব বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ওই প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে; গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদ নানা অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট করেছে।
শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন করেছে পরিচালনা পর্ষদ। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত লাভসহ ( সুদে আসলে) ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করেই গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা আত্মসাৎ করেছেন ।
গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেখা যাক অনুসন্ধানে কি তথ্য বেরিয়ে আসে।#