দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২২–২৩ অর্থবছরের জন্য ৫ হাজার ৪৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনের হলরুমে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভা পতিত্বে ২ পরিষদের ১৫তম কর্পোরেশননের (বাজেট সভা) সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় একই সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজেট সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, ডিএনসিসির অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাসহ কাউন্সিলরবৃন্দ এছাড়াও উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মৃধা, মেয়রের রাজস্ব বিষয়ক পরামর্শক ও সাবেক উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী, মেয়রের আর্থিক বিষয়ক পরামর্শক ও সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়া এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,‘ বৈশ্বিক মহামারী করোনা, সংঘর্ষ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ডিএনসিসি গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৮শ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।’ বাজেট সভায় হল রুমের ২০ শতাংশ লাইট ব্যবহার করে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। শীতাতপ যন্ত্র চালু ছিল ৫০ শতাংশ’।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুরো বিশ্ব বর্তমানে তিন সি’র ( কোভিড, কনফ্লিক্ট এবং ক্লাইটে চেইঞ্জ) জন্য টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এই তিন সি আমাদের দেশের জন্যও চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিএনসিসির ২০২২-২৩ অর্থবছরের গৃহীত বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মিতব্যয়ী হতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। এ,বি, সি ক্যাটেগরি অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।’
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,‘আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সময় এসেছে। শুধু আমরাই নই, বিশ্বব্যাপী উন্নতদেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেটা তারা করছে’। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যায়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যারফলে ‘ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। প্রয়োজনীয় বাতি ছাড়া সব বন্ধ থাকছে। এসিও বন্ধ থাকছে। যেসব কক্ষের এসি একান্তই প্রয়োজনে চালাতে হচ্ছে সেগুলোর টেম্পারেচার ২৫ এর নিচে নামানো হচ্ছে না।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ নগরীর আজকে প্রতিটি রাস্তায়-মহল্লায় অটোরিক্সায় সয়লাব। একেকটা অটোরিক্সাতে ৪টি করে ব্যাটারি থাকে। সারাদিন চালানোর পর এগুলোকে সারারাত ধরে চার্জে রাখা হয়। এই অটোরিক্সাগুলি বিদ্যুৎ বিধ্বংসী। প্রচুর বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। পাশাপাশি এগুলোতে প্রচুর দুর্ঘটনাও ঘটছে’। এ পরিস্থিতিতে ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করে সরকারকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এই শহরে আগে প্রচুর পায়ে চালিত রিক্সা চলতো। এখনো চলে। আমরা তো পায়ে চালিত রিক্সা বন্ধ করে দিচ্ছি না। যে অটোরিক্সা চালাতো সে পায়ে চালিত রিক্সা চালাবে। এ সময় তিনি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। # কাশেম