দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা প্রায় ৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা বকেয়া এই টাকা আদায় করতে দুর্নীতি দমন কমিশন্রে (দুদক) সহযোগিতা সত্বেও আশানুরুপ সাড়া মিলছে না। ফলে বকেয়া অর্থের পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে।
দুদকের দুই দফা চিঠিতেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দুদকের চিঠি বকেয়ার ৩ হাজার ৯২ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫২ টাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিমানের কাছে বেবিচকের বকেয়া পাওনা প্রায় ৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৮ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ২৭১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ২৯৯ টাকা। এর বাইরে বকেয়ার ওপর অতিরিক্ত চার্জ (সারচার্জ) ৩ হাজার ১৯২ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা।
সূত্র মতে, গত ১১ মে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খানের স্বাক্ষরে একটি চিঠি বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর দুদকের পাঠানো চিঠিতে প্রথম দফায় ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বকেয়া আদায়ের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জবাব চাওয়া হয়। কিন্তু প্রথম চিঠির কোনো জবাব দেয়নি মন্ত্রণালয়। এরপর প্রায় ১৯ মাস পর দুদক গত ১১ মে দ্বিতীয় দফায় ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বকেয়া আদায়ের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জবাব চেয়েছে।
সর্বশেষ পাঠানো চিঠিতে বকেয়া আদায়ের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানানোর জন্য দুদকের পাঠানো চিঠিতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বকেয়া আদায়ের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জবাব পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।কিন্তু অদ্যাবধি কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যে কোনো অভিযোগের বিষয়ে দুদক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে দুদক।
এদিকে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদকের চিঠিতে ৩ হাজার ৯২ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫২ টাকা বকেয়ার কথা বলা হয়েছে। আসলে ওই বকেয়া বর্তমানে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ টাকা দিচ্ছে না, ফলে বকেয়া বেড়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের রিপোর্ট শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’এর আগে ২০১৭ সালে সরকার বিমানের বকেয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মাফ করে দিয়েছিল।’
#