দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্যকরা ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের আপিল খারিজের পর এবার হাই কোর্টে রিট করেছেন । কিন্তু তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির না থাকায় ওই রিটের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছেন আদালত। তার পক্ষে সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেন।
রোববার (৫ জুন) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোটের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন গণমাধ্যমকে বলেন, গত সপ্তাহে ড. কামাল হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তিনি বলেন, আপিলেট ট্রাইব্যুনালের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটটি শুনানির জন্য তালিকায় ছিল। আজ সিনিয়র আইনজীবী না থাকায় সময় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ চার হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। ট্র্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।
এদিকে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ড. কামালের আয়কর রিটার্নের বিষয়ে জানতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ওই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর একজন করদাতা ড. কামাল হোসেন।
বিভিন্ন করবর্ষে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে দুটি (যার একটি ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) এবং আইএফআইসি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্টসহ মোট পাঁচটি অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপর কর পরিশোধ করেছেন।
তবে কর গোয়েন্দারা ওই আইনজীবীর নামে এমন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান যেটিতে জমা করা টাকার ওপর তিনি কোনো কর পরিশোধ করেননি। এমনকি ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে এনবিআরে কোনো তথ্যও দেননি। ওই সম্পদ গোপন করে কর ফাঁকির দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। #