দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মহালগ্নে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার পবিত্র সমাধিতে (মাজার) শ্রদ্ধানিবেদন করেছেন সদ্য আত্নপ্রকাশ করা দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশনের (ডুসা) কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন সংগঠনের উপদেষ্টাগণ, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক-সহ দুদকের সর্বস্তরের সদস্যরা। তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশনের (ডুসা) কর্মকর্তা ও সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন। আজকে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।
ডুসার কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দুদকএকটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা। সমাজের সর্বস্তরে প্রবহমান একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসার সুনিশ্চিত করা, সেই সাথে অব্যাহতভাবে দুর্নীতির দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ সাধন করার লক্ষ্যে দুদক তার একদল সৎ, মেধাবী, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ন্যায় এই সংস্থাটির একটি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি দীর্ঘদিন।অস্বীকার করার উপায় নেই যে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণার্থে নিয়োজিত। তাই এই সার্ভিসের সদস্যগণের পেশাগত মান উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে সামষ্টিক কল্যাণ, পারষ্পরিক ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে একটি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘ দিন থেকেই তীব্রভাবে অনুভূত হয়ে আসছিলো। এরই অংশ হিসেবে এই সার্ভিসের সদস্যগণের সমন্বয়ে আমরা গঠন করেছি দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন (ডুসা)।
আমরা বিশ্বাস করি আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সোনার বাংলার গড়ে তোলার স্বপ্নে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে লালন করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ গঠন।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিবিরোধী একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, সে সময় যে লক্ষ্য ও কৌশলগুলো তিনি বেছে নিয়েছিলেন, সেগুলো আজও বর্তমান বাস্তবতাতে ব্যাপকভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতিতে ও লেখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন।
দেশ পুনর্গঠনে দুর্নীতি যে বিরাট একটি অন্তরায় এবং দুর্নীতির সঙ্গে যে মূলত শিক্ষিত সমাজের ক্ষুদ্রতম অংশ জড়িত, সে বিষয়টি তিনি একাধিকবার উচ্চারণ করার পাশাপাশি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করে আত্মশুদ্ধির উপদেশ ও আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখনও দুর্নীতি ও সুশাসন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুফল সকল মানুষের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। সরকার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে একটি ন্যায়বিচারভিত্তিক সামাজিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে।
তবে কাজটি এককভাবে সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বরং বৃহত্তর সমাজকেও একইভাবে সচেষ্ট হতে হবে দুর্নীতিবিরোধী এই সামাজিক আন্দোলনে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন (ডুসা) তার নিজস্ব কর্মপরিধির মধ্যে থেকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ্ আমাদের সামষ্টিক উদ্যোগ সফল হবেই।
কারণ আমাদের সামনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দুর্নীতিবিরোধী অগ্রযাত্রার রূপরেখা। দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন (ডুসা) তার আত্নপ্রকাশের এই মাহেন্দ্রক্ষনে দেশবাসীসহ আপনাদের সকলের দোয়া ও শুভ কামনা প্রার্থী।
ডুসার সকল সদস্যগণ দুদকের সার্বিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ভিশন ২০৪১, তথা উন্নত দেশ গঠন, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” বাস্তবায়নের মাধ্যমে জন-আকাঙ্খা পূরণে সচেষ্ট থেকে যৌথভাবে কমিশনের সাথে কাজ করে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি / কাশেম /