দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
“আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কঠোর মনিটরিং করবে। ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাবারের মানসহ হোটেল ও রেস্তোরাঁর ভিতরে ও বাহিরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।”
এসময় রমজান মাসে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারি প্রদান করেন।
পবিত্র রমজান মাসে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক “ইফতার প্রস্তুতকরণ ও বিপণনে জড়িত ব্যবসায়ীদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় ডিএনসিসি মেয়র প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এ ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে আয়োজন করে।
এসময় মেয়র বলেন, “শুধু হোটেল এবং রেস্তোরাঁ নয় পথখাবারের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। পথখাবারের গুণগত মান নিশ্চিত করার বিষয়েও ডিএনসিসি কাজ করবে। ডিএনসিসি থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে ১০০টি (একশত) গাড়ির লাইসেন্স প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছি যারা পথখাবার বিক্রি করবে। লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের বিষয়ে আমাদের মানসিক পরিবর্তন খুব জরুরী। সুস্থসবল জাতি গঠন ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। ভেজাল খাদ্য সরবরাহ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করা যাবে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যাপক জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কাইউম সরকার, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিএনসিসি এবং জন টেইলর, চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা বলেন, “আসন্ন রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তায় মনিটরিং ব্যবস্থা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জোড়দার করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
কর্মশালায় আরো অংশগ্রহণ করেন ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিক, ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীগণ। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।