দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
সুশাসন নিশ্চিত করণ এবং টেকসই উন্নয়নের প্রধান বাধা লাগামহীন ঘুষ,দুর্নীতি ও অর্থপাচার। অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বালংাদেশে সুশাসন প্রতিষ্টার প্রতি জোরারোপ করে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এরমধ্যে ঘুষ দুর্নীতির লাগাম টানতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি। আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হলে দুর্নীতির ঝুঁকি কমিয়ে কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। তবেই এদেশো বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে আইএমএফ।
আইএমএফ মনে করে, সরকারি খাতসমূহ ডিজিটাইজেশন হলে স্বচ্ছতা বাড়বে, একই সঙ্গে কমবে দুর্নীতি।এদিকে গত ৮ মার্চ ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত আইএমএফের ২০২১ সালের কান্ট্রি রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।
আইএমএফ’র রিপোর্টে বাংলাদেশের জন্য অনেক সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে, বড় পদে থাকা কর্মকর্তাদের সম্পদের ঘোষণা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে, এ ধরনের ঘোষণা ও প্রকাশ হালনাগাদ করার মানসম্পন্ন পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।
আইএমএফের বিবেচনায় মন্ত্রী-এমপিও সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি আরও বলেছে, কেউ দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক নীতিমালা না মানলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য আরও কার্যকরভাবে যাচাই করতে হবে। দুদকের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে। অভিযোগ অনুসন্ধান পদ্ধতিরও উন্নতি ঘটাতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩তম। বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে মাত্র ২৬, যা গত চার বছর ধরে অপরিবর্তিত। এর অর্থ দুর্নীতি দমনে বাংলাদেশের অবস্থান দীর্ঘদিন ধরে একই আছে।
‘বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়। এ জন্য বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানো, বাণিজ্যকেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিল্পকেন্দ্রিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।
টিআইবরি প্রতিবেদনে পরামর্শের পাশাপাশি সরকারের মতামতও প্রকাশিত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার একমত যে ‘সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন বিভাগে দুর্নীতিবিরোধী সেল গঠন এবং একটি ‘হুইসেল ব্লোয়ার (তথ্য ফাঁসকারীর সুরক্ষা)’ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর সংস্থার ‘আর্টিকেল ফোর মিশন’ বাংলাদেশে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে গত ফেব্রæয়ারিতে বাংলাদেশের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে। ২ মার্চ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনা শেষ করে। #