দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ১২ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আব্দুল্লাহ হারুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) ও নিজ দায়িত্বসহ একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ চালিয়ে নেন। এ সময়ে অনুমােদিত নকশা অনুযায়ী কাজ না করে ভৌতিক এবং অতিরিক্ত বিল পরিশােধ করে ডিএসসিসি আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন।
এছাড়া তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন পদ্মা সেতু রেল সংযােগ প্রকল্পের ডিপােজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে দক্ষিণ কদমতলী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনের দুপাশে জমানাে বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজটিকে তিন গ্রুপে ভাগ করে ২৮ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন।
আহ্বান করা দরপত্রে বিভিন্ন অনিয়ম এবং কাজের পরিধি ও নির্ধারিত ব্যয়ের মাঝে বিস্তর অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়। মােট বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টন। যার মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টন। অবশিষ্ট এক লাখ ১৫ হাজার টন হবে মাটি ও রাবিশ যা বিক্রয়যােগ্য।
অথচ মাটি ও রাবিশ ডাম্পিং বাবদ দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যােগ্য হওয়ায় এক্ষেত্রে সরকারের কোনাে অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। দরপত্রের মাধ্যমে সংঘটিত অনিয়ম বিষয়ে দৈনিক পত্রপত্রিকায়ও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তিনি বিভিন্ন সময় অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থবিরােধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতিসাধিত হয়েছে এবং ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ণ হয়েছে।
তাই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আব্দুল্লাহ হারুনকে সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর ৬৪ (২) বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে চাকরি হতে অপসারণ করা হলাে।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।