দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘গণহারে করোনা প্রতিরোধের টিকাদান চলছে। আগে টিকা নিতে অনেক কাগজপত্র দেখাতে হতো। কাগজপত্র নেই, হারিয়ে গেছে এইসব অজুহাতে অনেকেই টিকা গ্রহণ করেনি। এখন এসব কাগজপত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। একটা ফোন নাম্বার থাকলেই টিকা পাওয়া যাচ্ছে। অনুগ্রহ করে সবাই টিকা নিন। বন্ধের দিনগুলাতেও আমাদের টিকা কেন্দ্র খোলা।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘এতো সহজ করার পরেও যারা কোনো প্রকার টিকা নেবেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমন কি যে সব দোকানপাটের মালিক ও কর্মচারী অন্তত একডোজ করোনা টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র দেখাতে পারবে না তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
২৫ ফেব্রুয়ারি ( শুক্রবার) দক্ষিণখানের কসাই বাড়ি রেলগেইট এলাকায় একটি গণটিকা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৬ তারিখের পর বন্ধ হয়ে যাবে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান। তাই যারা কোনো ডোজই নেননি, আগামীকালের মধ্যে প্রথম ডোজটা নিয়ে নিন।
টিকা নিলে টাকা লাগে না, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বরং পরিবার ও দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকে। নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবার টিকা নিতে হবে বলে নিতে মন্তব্য করেন ।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আজ সকাল থেকে অঞ্চল-১, ৭ ও ৮ এলাকায় স্থাপিত ডিএনসিসির টিকা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, ‘সাধারণত শুক্রবারে টিকা প্রদান বন্ধ থাকে। কিন্তু বিভিন্ন পেশার মানুষ সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোয় ব্যস্ত থাকায় তাদের কথা বিবেচনায় করে শুক্রবারেও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অফিস খোলা রাখা হয়েছে। এতে সাড়া মিলেছে।’
এ সময় আগামীকাল শনিবারও গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে বুথ রয়েছে ৪শ ৮৬টি। কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই কেন্দ্র গুলোতে টিকা পাওয়া যাচ্ছে। টিকা শেষে টিকা গ্রহিতাকে টিকার সনদও প্রদান করা হচ্ছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।