দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
৪৫ কোটি আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২১ জনের বিরুদ্ধে নতুন আরও একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এপর্যন্ত পিকে হালদার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২৮টি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে পিকে হালদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় নতুন করে ২৮তম মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৫। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৮/ ৪৭১/ ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২,৩) অভিযোগ আনা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক নতুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অপর ২০ আসামীরা হলেন- ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মমতাজ বেগম, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবুল শাহজাহান, ডা. উদ্দার মল্লিক, প্রদীপ কুমার নন্দী, অঞ্জন কুমার রায়, মো. আতাহারুল ইসলাম, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবী, সোমা ঘোষ, সাবেক সিনিয়র অফিসার মিসেস তাসনিয়া তাহসিন রোজালিন, সিনিয়র অফিসার মৌসুমী পাল, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজী, ম্যানেজার আহসান রাকিব, সাবেক এসইভিপি প্রাণ গৌরাঙ্গ রায় ও মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাবেক ভিপি মো. মনিরুজ্জামান আকন্দ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর ইমাদুল হক।
দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের নামে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। যার সব নথিপত্র রেকর্ডপত্র ভুয়া।
ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ঋণ গ্রহণ করার পর ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে পিকে হালদার দেশের বাইরে কানাডায় অবস্থান করছেন। #