দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত। রোববার (১৩ ফেব্রয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান সিদ্দিকীর আদালত ওই দুই আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাভোকেট মিয়া হোসেন।তিনি বলেন, আসামীদের আজ (রোববার) আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমির আদালতে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে সমন জারি করেন।আসামীরা ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৩ ফেব্রæয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে,, আসামীদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী তোফাজ্জল হোসেন । বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারির কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।
আসামীরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।
উল্লেখ, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। আসামীদের একাধিকবার রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে। #