দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একজন জেলা প্রশাসক জানেন তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে। কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কোথায় কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হয় ও কীভাবে তা বন্ধ করা যায় , সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি একই সঙ্গে দুর্নীতি রোধে ডিসিদের গণশুনানি করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের ৬ষ্ঠ অধিবশেনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরনও পরিবর্তন হয়ে যায়। কোথাও যদি গণশুনানি করা হয় তাহলে দুর্নীতির নতুন ধরনগুলোও জানা যায়। করোনার কারণে এটি এখন সীমিত আছে। আমরা ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করবো। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হয় এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।’
দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়তো অনেক অভিযোগ থাকলেও সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা এড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয় আমর চেষ্টা করছি।
‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটি না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউই তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে তাদেরও আমরা জবাবদিহীতার আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’
দুদকের আইনজীবীরা মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকেন না এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জেলার যারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন তাদেরই নিয়োগ করার চেষ্টা করি। দুদক আইনে আছে আমাদের একটি প্যানেল থাকে। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের বেতনে তো কোনো আইনজীবী আসতে রাজি হবেন না।
‘তারা যদি স্বাধীনভাবে আইন পেশায় থাকে তাদের আয় অনেক বেশি থাকে। আমার এখানে যদি নিয়ে আসি তাহলে ৫ম গ্রেডের বেতন যদি দেই সে টাকায় ভালো আইনজীবী আসবে না। আইনজীবী নিয়োগের জন্য যারা প্রতিষ্ঠিত তাদেরই আমরা নিয়োগের চেষ্টা করি। মামলার সময় উপস্থিত থাকে না এমন ঘটনা অনেক কম।’