দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে রাজধানীসহ সারাদেশে অর্থিক খাতের নানা অনিয়ম বন্ধ করা এবং আথিক খাতে শৃংখলা ফিরে আনার জন্য অননুমোদিত ও অনিবন্ধিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদরন্তের জন্য সাত সদস্যের একটি স্পেশাল কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ স্পেশাল কমিটির প্রধান হলেন; বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। আর এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এর মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (ডিভিশন-১) মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম ও ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মুনীর আহমেদ চৌধুরী।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠনের তথ্য প্রতিবেদন আকারে আদালতে হলফনামাসহ জমা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল।
ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
হাইকোর্টের নির্দেশনার ৪৫ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। রিট আবেদনটি মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের বেে পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।
রিটকারীর আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান,এ তদন্তকালে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।এছাড়া ঋণদানকারী স্থানীয় সুদকারবারীদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে অর্থিক খাতের নানা অনিয়ম এবং বিশৃংখলা চলছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তিনি প্রত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়েছেন।#