দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠার পর কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন- তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
আদেশ অনুযায়ী দুদকের পক্ষ থেকে উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমজাদ হোসেন বিশেষ জজ আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ গেছেন এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ফিরে আসবেন। তবে, শর্ত অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতকে জানাননি। এছাড়া যে সকল বিষয়ে কাগজপত্র দুদকের কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছিল সেগুলো দেননি বলেও হাইকোর্টে দেওয়া সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে।
নির্দেশানা অনুযায়ী সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত এ বিষয়ে শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানি মুলতবির আদেশ দেন। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দেশ ছাড়লেন সাউথ বাংলা ব্যাংকের আমজাদ’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়। ওই সংবাদের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। সেটি আমলে নিয়ে আমজাদ দেশে নাকি বিদেশে জানাতে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
তারই আলোকে সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়েছে, মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে আমজাদ হোসেন ১৫ সেপ্টেম্বর বা তার নিকটবর্তী সময়ে অনুমতি নিয়ে বিদেশে গেছেন। তবে আদালতের শর্ত অনুযায়ী তিনি চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী বেগম সুফিয়া আমজাদ, মেয়ে তাজরি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোথায় অবস্থান করবেন- তার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেইলসহ সকল তথ্যাদি আদালত, দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সচিবকে অবহিত করার কথা। এরপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করবেন। কিন্তু শর্ত মোতাবেক এসব তথ্য দুদকে দাখিল করা হয়নি এবং এ বিষয়ে দুদক অবগত নন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৭ আগস্ট ও ১০ অক্টোবর এসএম আমাজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার তদন্ত চলছে। মামলা সংক্রান্ত আরও ৪৭ পৃষ্ঠার সংযুক্তি জমা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মো. খুরশীদ আলম খান আদালতে বলেন, কাগজপত্র সাবমিট না করে আমজাদ হোসেন চলে গেছেন। এখানে দেখা যাচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বরের আদেশ লঙ্ঘন করে বিদেশ গেছেন। এরপর আদালত বলেন, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ফেরার সময় আছে। আমরা আপাতত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখলাম। #