দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম আজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সকাল ৮টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ আইনজীবী বাসেত মজুমদার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বেলা ১১টায় বনানী কেন্দ্রীয় মসজিদ, বাদ জোহর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বাদ আসর নিজ গ্রাম কুমিল্লায় শানিচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বাসেত মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে গত ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রবীণ এ আইনজীবী। ২৪ অক্টোবর তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে নেওয়া হয়েছিলো ভেন্টিলেশনে।
হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর বাসেত মজুমদারের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানিয়েছিলেন, তার বাবার পেছনের মেরুদণ্ডের হাঁড়ের একটা ডিস্ক ডিসপ্লেসমেন্ট হয়েছিলো। প্রায় দুই-আড়াই মাস ধরে তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। সবশেষ ১০-১২ দিন উনার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল।
‘গরিবের আইনজীবী’ বাসেত মজুমদার:
১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাসেত মজুমদার। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক (এসএসসি) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) ও বিএ পাস করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরের বছর ১৯৬৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ব্যবসা পেশায় নিয়োজিত। ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আক্তার লুনা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সর্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার ঝুমা উত্তরা মেডিকেল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর।
#