অসামাজিক কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
আজ রবিবার, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে, আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। বর্তমানে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলের যুবলীগ কার্যালয়ে অভিযানে রয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার-বিন-কাশেম জানান, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল মাসে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন তিনি দৃশ্যমান ছিলেন। ফোনও ধরতেন। এরপরই তিনি গা ঢাকা দেন। দেশত্যাগের চেষ্টাও করেন।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। এরপরই গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্লাবটির সভাপতি খালেদ হোসেন ভুঁইয়াকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট।
অভিযান শুরুর পর গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়। তাঁর ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়।