দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের রাস্তা সম্প্রসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাস্তার বা’পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিসি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা হতে ৩ ফিট ও ডান পাশে অবস্থিত ব্যক্তিগত স্থাপনাগুলোর সীমানা হতে তিন ফিট করে উচ্ছেদ করা হয়। ফলে বিদ্যমান ১৪ ফুটের রাস্তাটি ২০ ফুটে উন্নীত করা হলো।
দক্ষিণ সিটির এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত লোকজনের পক্ষে করপোরেশনের মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘ ২৫ বছরের চাওয়া পূর্ণতা লাভ করলো।এই রাস্তাসহ শহর ঢাকা শহরের গলির আকার ধারণ করা রাস্তাগুলো সম্প্রসারণের জন্য আমরা আন্দোলনও করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় রাজউক ন্যূনতম ২০ ফুট রাখার নীতিমালা করে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী নতুন এলাকার রাস্তাগুলো সম্প্রসারণ করা হলেও বিদ্যমান রাস্তাগুলো আর সম্প্রসারণ করা যায়নি।
এজন্য আমরা করপোরেশনসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে বারবার অনুরোধ জানিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মেয়রকে রাস্তাটি সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ হতে আমরা অনুরোধ জানাই।
বর্তমান মেয়র আমাদের সেই দাবি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন।ফলে আজকের এই সম্প্রসারণ সম্ভব হলো। সেজন্য আমি এলাকাবাসীর পক্ষ হতে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।”
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আরও বলেন, “সিটি করপোরেশনের গলি প্রশস্তকরণের এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকাগুলো আরো সুন্দর, মনোরম ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে বলে আমি আশাবাদী।”
উচ্ছেদ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তাই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের রাস্তা প্রশস্তকরণের আন্তরিক চাওয়াকে আমরা সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর ফলে দুটি গাড়ি অনায়াসে পাশাপাশি চলতে পারবে।
এতে এলাকাটি যানযট মুক্ত হবে এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই উদ্যোগ গ্রহণে সরব থাকায় এলাকাবাসীসহ স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর রাস্তা প্রশস্তকরণে সহযোগিতা করায় বিআইডব্লিটিসি-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।”
উল্লেখ্য, আজকের অভিযানে বিআইডব্লিউটিসি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানার ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। অফিস অসংরক্ষিত হয়ে যেতে পারে বিধায় আগামী তিনদিনের মধ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পর বাকী অংশ উচ্ছেদের বিআইডব্লিউটিসি’র অনুরোধে সাড়া দক্ষিণ সিটি।
অভিযানকালে স্থানীয় কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।