দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, আমাদের আশঙ্কা সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন এ অভিযোগ! আমরা মনে করি, সাংবাদিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ধরনের কাজ সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তিনি বলেন, বিএফআইইউর এ পদক্ষেপ সাংবাদিকদের মনে ভয়ভীতি সৃষ্টির কৌশল। এর মাধ্যমে সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনা সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান কিছু জানে না। আমাদের খটকা লাগে এখানেই। সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের নামে সম্মানহানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও ডিআরইউ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফরিদা ইয়াসমিন আরও বলেন, সাংগঠনিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। এটি কেবল ব্যক্তিকে নয়, প্রতিষ্ঠানকেও কলঙ্কিত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব এভাবে তলব করা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে।
কিন্তু ঢালাওভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কেন, কী কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
এছাড়া ব্যাংক হিসাবে যদি কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা কোনো ধরনের মানি লন্ডারিং কিংবা জঙ্গি অর্থায়নের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তা যেন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই দাবিও লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক।
পরে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা মনে করছি এটি ভয়ভীতির জন্য করা হয়েছে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। তাই আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এছাড়া এটি মত প্রকাশ ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলেও মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
#