দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সাহসী ভূমিকা নিয়ে ছেন। তিনি এবার ‘চাঁদাবাজির দোকান’ আখ্যা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন ।
অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছুক্ষণ অগে খবর পেলাম, প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয়, তখন এখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। এখানে আমাদের ভাবমূর্তির বিষয়টা এসে যায়।আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য। এরা চাঁদাবাজি নির্ভর। এরা দলের নাম ভাঙ্গায়। কাজেই এই সব সংগঠনের কোনো প্রকার আয়োজনে, বৈঠকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক যেটাই হোক, আমি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাব, আপনারা কোনো অবস্থাতেই এইসব সংগঠনের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত থাকবেন না।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার ‘মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। পরে ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সেখানে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন এবং মঞ্চ ও অন্যান্য আয়োজন গুটিয়ে নেয় সংগঠনটি।
এ দিন সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় যোগ দিতে যথারীতি কার্যালয়ে আসেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তার চোখে পড়ে। পরে কার্যালয়ে ঢুকে দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে প্রজন্ম লীগের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে নির্দেশ দিলে সে অনুযায়ী সভা বন্ধ করে দেয়া হয়।
#