দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
তালেবান যোদ্ধাদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরে শহরের রাস্তায় পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। আরো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করবেন না। রাস্তাঘাটে মারধর করা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে তালেবান নেতৃত্ব ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) এই নির্দেশনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিন্তু গত প্রায় এক মাসে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু মারধরের অভিযোগ আসছে। কাবুলেও তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রাস্তায় তারা লাঠি এবং বেত হাতে ঘুরছে গতবারের মতোই।
এই পরিস্থিতিতে রোববার তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধাদের ইউনিফর্ম বা উর্দি পরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তালেবান যোদ্ধাদের একটি বড় দল কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষার দায়িত্বে আছে। তাদের কিছুদিন আগেই ইউনিফর্ম দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি যোদ্ধারা সাদা পোশাকেই ঘুরছিলেন। এবার তাদেরও ইউনিফর্ম পরতে হবে।
মুজাহিদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওই তালেবান যোদ্ধাদেরই পুলিশে নিয়ে নেয়া হবে। ইউনিফর্ম পরলে কারা অন্যায় অত্যাচার করছে, তা স্পষ্ট হবে। ব্যবস্থাও নেয়া যাবে।
কাতারের প্রতিনিধিদল কাবুলে:
এদিকে রোববার কাবুলে পৌঁছেছে কাতারের প্রতিনিধি দল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই প্রতিনিধি দলের নেতা। কাবুলের রাজপ্রাসাদে তারা দেখা করেছেন আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে তালেবান সূত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন।
এই প্রথম সরকারিভাবে কোনো দেশের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবান প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করল। তালেবান সূত্রের দাবি, বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং দেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। দোহায় দীর্ঘদিন নিজেদের রাজনৈতিক দফতর চালিয়েছে তালেবান।
এখনো সেই দফতর আছে। তালেবানের সাথে বরাবরই যোগাযোগ রেখেছে কাতার। কাবুল বিমানবন্দর দ্রুত সারিয়ে খোলার বিষয়েও তুরস্কের সাথে কাতার সাহায্য করেছিল তালেবানকে। মনে করা হচ্ছে, তালেবানের সাথে বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে কাতার।
সূত্র : ডয়চে ভেলে