দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সকল পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেয়ায় মেয়র এবং সিইও’র যৌথ প্রচেষ্টায় পৌরসভার কার্যক্রমে নতুন মাত্রা ও গতি বৃদ্ধি পাবে।
আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ম্যাবের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনিএকথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পৌরসভাগুলোতে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা নিয়োগ সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিইও নিয়োগকে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন এর মাধ্যমে পৌরসভাগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে। রাজস্ব আয় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। পৌরসভাকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটবে।
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পৌরসভা গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দখলদারিত্ব, নাগরিক সেবা প্রদান, অন্যায়-অবিচার দূর, সরকারি জায়গায় উদ্ধারসহ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। পৌরসভার মেয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ উদ্যোগে পৌরসভায় নতুন কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সুশাসনের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা অপরিহার্য। রাষ্ট্র সংবিধান অনুযায়ী চলে। ক্ষমতায়ন করলেই হবে না জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে, নতুবা স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই মানুষ ভালো থাকবে। একজনের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি করা যাবে না। জনগণকে তার কাঙ্ক্ষিত সেবা কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তার সবাই এদেশের সন্তান। সবার লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটায় আর তা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক-শ্রমিকের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি তাহলে দেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরসহ যেসকল মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে এগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
নগর আদালত প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে স মাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং আদালতে মামলার চাপ কমাতে গ্রাম আদালতের ন্যায় নগর আদালত চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনার মহা সংকটে জীবন বাজি রেখে পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ সকল জনপ্রতিনিধি মানুষের সেবায় নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। অসহায় দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাবার, ঔষধপত্র পৌঁছে দিয়েছেন। কয়েকজনের ভুল ত্রুটির জন্য সকলকে এক কাতারে মাপা ঠিক হবে না।
মিনিসিপাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ম্যাবের প্রেসিডেন্ট ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌর সভার মেয়র মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ। সাধারণ সভায় দেশের সকল পৌরসভার মেয়রগণ ও কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।