দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
পাহাড়ী ঢল ও বন্যার পানির স্রোতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় ভাঙ্গন চলছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাইসহ অনান্য শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিভিন্ন শাখা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য স্থাপনা। বিভিন্ন এলাকার পানিবন্দি মানুষ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে অনত্র আশ্রয় নিয়েছে।
টাঙ্গাইল সদরের চরাঞ্চল, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর, নাগরপুর ও বাসাইল এই ৬টি উপজেলায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে পানিবৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ, কাঁচা রাস্তা ও কালভাট ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সেই সাথে দেখা দিয়েছে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে তিনশতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে। এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটায় পানি ওঠায় বন্যা দুর্গতরা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগীতা পাননি বলে জানিয়েছেন বানবাসিরা।
অন্যদিকে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবার শঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে সে সমস্ত এলাকায় খুব শীঘ্রই সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।#