বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীণ নিউজ :
গণফোরামের সভাপতি ড. কামালের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবসরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ রোববার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পরের জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হলেন ড. কামাল হোসেন।
স্বাধীনতার সাথে সাথে পাকিস্তান কারাগার থেকে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর সর্বপ্রথম তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনকে মুক্তি দিয়ে আমার কাছে না আনলে আমি তাঁকে না নিয়ে দেশে যাব না।
তিনি বলেন, জাতীয় সরকার করেন। ডা. কামাল হোসেনকে তার প্রধান করেন। আপনার দলের মধ্যে থেকে শেখ রেহেনাকে দেন, মতিয়া চৌধুরীকে দেন, তোফায়েল আহমেদকে দেন। সব দল থেকে নিয়ে দ্রুত জাতীয় সরকার গঠন করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনার কাজ এখন দরকার বিশ্ব রাজনীতিতে যাওয়া। বিশ্ব রাজনীতিতে যাওয়ার জন্য আপনার প্রথম কাজ হবে তুরস্ক থেকে যাতায়াত শুরু করা। পাকিস্তানের যান। যেয়ে বলেন, তোমারা যে ভুল করে ছিলেন, যে অন্যায় করেছিলেন, তার জন্য ক্ষমা চান।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ আজ আঠারো কোটি মানুষের৷ আমাদের যেখানে জায়গা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমরা যেতে পারিনি। আমাদের জায়গা হবে চীনের পাশে, আমেরিকার পাশে। ভারতের পিছনে নয়, সামনে। এটা করার জন্য আপনি সেই দায়িত্বে যান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, চিত্রনায়িকা পরীমনি একজন সুন্দরী নারী। তিনি অপরাধ করেছেন কিনা বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিনা তা আদালত নির্ধারণ করবে। তবে তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সরকার মদ আমদানির বৈধতা দিয়েছে। তবে অপরাধ করে পরবর্তী সময়ে আদালত এবং কারাভোগের পর সবারই জামিনের অধিকার রয়েছে। পরীমনির জামিন দিতে হবে। বিচারপতিগণ হঠাৎ ওনার সুন্দরে মুগ্ধ হলেন, নাকি বিবেকের তাড়নায় তার জামিনের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। এটা জানি না।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কারাগারে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ জন ছাত্র দীর্ঘদিন যাবৎ কারাগারে আছেন। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ো কথা বলেছেন বলেই ছাত্ররা এত দিন জেলে রয়েছে। তাদের জামিনটা হচ্ছে না, আপনি বলেছিলে (প্রধান বিচারপতি) হস্তক্ষেপের অধিকার নাই। এখন কী ভাবে পরীমনির বিচার দ্রুত করার আদেশ দিলেন। বিবেকের তাড়নায় ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করুন।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান, আওম শফিক উল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এডিজেড/একে/ দূরবীণ নিউজ ।