দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মির্জা ফখরুলের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।মির্জা ফখরুলের মানসিকভাবে অসুস্থ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা ড্যাবের ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ইদানীং মির্জা ফখরুল যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে মনে হয়েছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব প্রয়োজন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ একটা কেস স্টাডি। আফ্রিকার দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ এখন মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের চেয়ে আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০ ডলার বেশি।
এখন পাকিস্তানিরা আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে। আমরা কালো এবং খাটো বলে এই পাকিস্তানিরা আমাদের অবজ্ঞা করতো। এমনকি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে স্বাধীনতার পর আনন্দ-উল্লাসও হয়েছিল।
আর সেই পাকিস্তানিরা আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে। ইমরান খান নিজে স্বীকার করেছেন, আজকে সবকিছুতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছে। এটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচনার সার্থকতা। এটি হচ্ছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনার সার্থকতা।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আবার অনেকের পছন্দ হয় না। যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে, যারা পশ্চাৎপদতাকে অবলম্বন করে রাজনীতি করে, যারা আফগানিস্তানে তালেবানের কাবুল দখলের পর উল্লসিত হয়, তাদের আবার এই অগ্রগতি পছন্দ হয় না। যাদের পছন্দ হয় না তারা আবার প্রচণ্ডভাবে হতাশার মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ পর পর তিনবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। যারা ধারণা করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, পুরো পরিবারকে হত্যা করে যাদের স্বপ্ন ছিল—বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগের কেউ কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তারা এখন যখন দেখছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে তারা প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, সেই সরকারের চাকুরে ছিল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ৪০০ টাকা বেতন পেতো। এটি অনেকেই জানেন না, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তিনি ৪০০ টাকা বেতনে সেই সরকারের চাকরি করেছেন।
আর আজকে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই ধারণ করে না। তার বক্তব্য শুনে আমার মনে হচ্ছে, তিনি এমন হতাশায় নিমজ্জিত যে এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। যেই দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ, যাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রাম, যাদের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেই দল নিয়ে তারা কথা বলে। দুই পাশে জঙ্গিদের বসিয়ে যারা ‘আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগান’ এই স্লোগান দেয়, তাদের সঙ্গে মিটিং করে বলে আওয়ামী লীগ চেতনা ধারণ করে না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, উনারা কোন চেতনা ধারণ করেন?’’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।#