দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
তালেবান নেতারা রাজধানী কাবুলে এসে পৌঁছালেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা তালেবানের সাথে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন হিজব-ই-ইসলামীর প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারএই কথা বলেন। হেকমতিয়ার বলেন, তালেবান এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা আফগানিস্তানে সকলের অংশগ্রহণে সরকার গঠন করবে।
ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নতুন সরকার গঠনের জন্য তালেবান আলোচনা করছে। অপরদিকে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আলোচনায় পাকিস্তানে অবস্থান করছেন শীর্ষ সাত আফগান রাজনীতিবিদ।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার পিছু হটে। তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
কাবুলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরপরই তালেবান নেতৃত্ব আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সাবেক প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সকলের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে এবং সবাইকে নিয়ে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের প্রত্যয় জানায়।
# সূত্র : তোলো নিউজ