দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্ব স্পষ্ট হলেই সাথে আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস । তিনি বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ‘আমি নিজে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি যখন স্পষ্ট হবে আমি কার সাথে কথা বলছি, কি বিষয়ে কথা বলছি।’
গত রোববার তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এই ঘোষণা দিলেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব। বৃহস্পতিবার তালেবান আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেও এখনো দেশটিতে কোনো সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবার অংশগ্রহণে আফগানিস্তানে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আলোচনা চালিয়ে আসছে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার পিছু হটে।
তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় রোববার কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
# সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি