দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে উত্তর যাত্রাবাড়ীর এশিয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুগদা আইডিয়াল স্কুলের নির্মাণাধীন ভবন এবং ডিসেন্ট হাউজিং ও আসকন হাউজিং নামীয় দুটি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ভবনসহ ১৮টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। এডিসের লার্ভা পাওয়া ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আজ শনিবার (৭ অগাস্ট) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) অভিযানসমূহ পরিচালনা করেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর রমনা ও ধানমন্ডিতে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর বনশ্রীতে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও মুগদায় বিকাশ বিশ্বাস অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ বিশ্বাস “মুগদা আইডিয়েল স্কুল” এর অভ্যন্তরে নির্মাণাধীন একটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৫ এর উত্তর সায়েদাবাদ, দক্ষিণ সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ি পার্কে শাহিন রেজা এবং মীর হাজীরবাগ ও উত্তর যাত্রাবাড়ীতে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৮ এর ডগাইর, মাহমুদনগর ও সাইনবোর্ড এলাকায় কাজী হাফিজুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) মধ্যে অঞ্চল-১ এর মেরীনা নাজনীন কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও হাজারিবাগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি ৪২২টি বাড়িতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহ এ সময় মোট ৬৭১টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৮টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান হতে ১৮টি মামলায় সর্বমোট ৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানে প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, “আজকের অভিযানে উওর যাত্রাবাড়ীর ‘এশিয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-কে ৯০ হাজার এবং আবাসন উন্নয়নকারী ‘ক্রিসেন্ট হাউজিং’ ও ‘আসকান হাউজিং’ এর নির্মাণাধীন দুটি ভবনের প্রতিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।”
আজকের বনশ্রীর অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান সম্পর্কে রাসেল সাবরিন বলেন, “সেখানে একটি বাড়ির ছাদে ও আরেকটি বাড়ির বেজমেন্টে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়ায় প্রতিটি বাড়িকে ৫০ হাজার করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এছাড়াও অভিযানকালে আরও ২৩টি স্থাপনা ও বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তা ধ্বংস করা হয় এবং সেসব বাড়ির মালিককে সতর্ক করা হয়।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।