বিশেষ প্রতিনিধি,দূরবীণ নিউজ:
সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রবীন রাজনীতিবিদ অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম আজ শনিবার (২৪ জুলাই) নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এক বছর যাবত অধ্যাপক জাহানারা বেগম স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছিলেন।
২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকার সময়ে জাহানারা বেগমের সহকারি একান্ত সচিব আবদুল মুকিত জানান “ তিনি আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে নিজের বসুন্ধরার বাসায় বার্থরুমে পড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা জানান তিনি মারা গেছেন।”
মরহুমের স্বামী পিডিবির প্রকৌশলী আহমেদ মোস্তফা ১৯৮৬ সালে মারা যান।যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বড় ছেলে দেশে ফিরলে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান তার পরিবার।
বর্তমান মরহুমের মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।অধ্যাপক জাহানারা বেগম বিএনপির যুব মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক ও সভাপতি ছিলেন।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ মহিলা সংরক্ষিত আসনে এবং ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক জাহানারা বেগম।
১৯৯৪ সালে থেকে তিনি বিএনপি সহসভাপতি ছিলেন দল ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত। ২০০৬ সালের শেষে দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল অলি আহমেদের নেতৃত্বে অধ্যাপক জাহানারা বেগমসহ একটি অংশ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তারা লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি গঠন করেন। যার প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিবও ছিলেন জাহানারা বেগম।
পরে তিনি এলডিপি ছেড়ে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের(বিএনএফ) কো চেয়ারম্যান হিসেবে যো্গ দেন। এরপর থেকে জাহানারা বেগম রাজনীতির থেকে দূরে যান।
১৯৫৯ সালে ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বাম ঘরোনা থেকে রাজনীতিতে আসা এই নারী নেত্রী শিক্ষাজীবন শেষ করে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে অধ্যাপনাও করেছেন দীর্ঘদিন।
অধ্যাপক জাহানারা বেগমের মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ, অপর অংশের সভাপতি আবদুল করীম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া পৃথক পৃথক বানীতে শোক প্রকাশ করেছেন।
এডিজেড/একে/দূরবীণ নিউজ।