দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র হজের শেষ হয়েছে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে হাঁটা ও তাওয়াফ পর্ব। এখন মিনার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়া পালা হাজযাত্রীদের।
রোববার (১৮ জুলাই) মিনায় যাবেন হাজিরা। করোনা মহামারির কারণে হাজিদের নিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩ হাজার বাসের। প্রতিটি বাসে বহন করা হবে ২০ জন হাজিকে।
মিনায় রোববার রাত কাটিয়ে সোমবারের লক্ষ্য আরাফাতের ময়দান। সোমবার ফজরের নামাজের পর হাজিরা রওয়ানা হবেন ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে। সেখানে অবস্থান করবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
আরাফার দিনটিকেই মূলত হজ বলা হয়। এদিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন, কাবার ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বানদার বালিলাহ। বাংলাসহ ৯টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হবে এটি। এরপর রয়েছে কোরবানি পর্ব। পরদিন মঙ্গলবার অর্থাৎ ২০ জুলাই পশু কোরবানি দেবেন হাজিরা।
এবার হজের সুযোগ পেয়েছেন সৌদিতে থাকা দেড়শো দেশের ৬০ হাজার জন। অনলাইনে সাড়ে ৫ লাখের বেশি আবেদন থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন তারা। সবাইকে দেয়া হয়েছে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন।
হজ ও ওমরা বিষয়ক উপমন্ত্রী আবদেলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাসাত জানান, এরই মধ্যে ৪৬ হাজার হাজি মিনায় পৌঁছেছে। এ বছর মোট হজযাত্রীদের মধ্যে ৪০ শতাং নারী রয়েছে।
এদিকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া আগেই পবিত্র মক্কা নগরীদের আসতে থাকেন হজযাত্রীরা। ফলে তাদের পদচারণায় আগে থেকেই মুখর হয়ে উঠছে চারদিক। করোনা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সীমিত পরিসরেই হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরও হজ পালনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। এবারও লোকজনকে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হজ পালন করছে।
চলতি বছর সৌদি আরব নিজের দেশের মাত্র ৬০ হাজার নাগরিককে হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে। গতবারও বিধি-নিষেধের মধ্যেই হজ পালনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ফলে যে পাঁচদিন হজের আনুষ্ঠানিকতা ছিল তার মধ্যে কারও দেহে করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। গত বছরের এই সফলতার কারণে এবারও সীমাবদ্ধতার মধ্যেই হজ পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবারও বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের হজ পালনের অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব। তবে এ বছর লটারির মাধ্যমেই সৌদি আরব তাদের নাগরিকদের মধ্য থেকে হজযাত্রী নির্বাচন করেছে।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমকে অবশ্যই অন্তত একবার হজ পালন করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই লাখ লাখ মুসল্লি জড়ো হন। এর আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজে অংশ নিয়েছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারির কারণে গত বছর থেকেই এই চিত্র অনেকটা বদলে গেছে।
সূত্র: আরব নিউজ