দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ হারারে টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের অনেক বড় টার্গেট দিয়েছে। টেস্টের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নাই কোনো দলের।
জানা যায়, প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিতে ৪৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২৭৬ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে শান্ত ও সাদমানের সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ২৮৪ রানে ডিক্লিয়ার করে বাংলাদেশ। আর তাতে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৭ রান। ২১ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশ এই প্রথম কোন প্রতিপক্ষকে সাড়ে চারশর রানের বেশি টার্গেট দিতে পারলো।
শনিবার চতুর্থ দিন শেষে লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে করে ৩ উইকেটে ১৪০ রান। রোববার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ৩৩৭ রান। বাংলাদেশের চাই বাকি সাত উইকেট।
শনিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২২ রানে সাদমান ও ২০ রানে সাইফ হাসান ছিলেন অপরাজিত। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই দুজনই ছিলেন বেশ ছন্দে। রান করতে থাকেন ভালোই। সাদমানের ফিফটির পর এগুচ্ছিলেন সাইফও। কিন্তু পারেননি তিনি। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় এনগারাভার বলে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দেন সাইফ। ৯৫ বলে ছয় চারে ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি সাজঘরে।
নতুন সাথী নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে করে এগিয়ে যেতে থাকেন সাদমান ইসলাম। ১০১ বলে ফিফটি করা সাদমান শতক স্পর্শ করেন ১৮০ বলে, যার মধ্যে ছিল আটটি চারের মার।
ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে প্রথম শতকের দেখা পেলেন সাদমান। এর আগের তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৭৬ রানের। সেটাও অভিষেক টেস্টে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। এবার শতকের ম্যাচে সাদমান আরো পরিণত, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের বিশেষত্ব দেখাচ্ছেন তিনি।
পানি পানের বিরতি পযন্ত ১০৮ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত বিরতির পর দেখা পান সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে শতক পূর্ণ করেন শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলতি বছরের এপ্রিলে, ১৬৩ রান।
বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে ২৮৪ রানে। ১৯৬ বলে নয় চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন সাদমান ইসলাম। ১১৮ বলে পাচ চার ও ছয় ছক্কায় ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাসকিনের বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দেন মিল্টন শুম্বা (১১)। এরপর অবশ্য অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরের সাথে উইকেট আকড়ে থাকার লড়াইয়ে নামে প্রথম ইনিংসে দারুণ খেলা কাইতানো। এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ওয়ানডে স্টাইলে খেলা টেইলর ফিরতি বলে ক্যাচ দেন মিরাজের হাতে। ৭৩ বলে ১৬টি চারে তিনি করেন ৯২ রান।
এরপর মায়ার্সের সাথে প্রতিরোধ গড়ার আপ্রাণ চেস্টা করেন কাইতানো। কিন্তু তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০২ বল মোকাবেলা করে তার রান মাত্র ৭। পরে সাকিবের বলে কাইতানো এলবির শিকার হয়ে আউট হন। ক্রিজে মায়ার্স ১৮ রানে ও তিরিপানো ৭ রানে আছেন অপরাজিত।#