দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি চার প্রকৌশলী লেবাননের ধ্বংসপ্রাপ্ত বৈরুত বন্দর নতুন করে তৈরির নকশা দিয়ে আন্তর্জাতিক এক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছেন । স্থাপত্য নকশার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হাইফা অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইনের এই বছর পুরস্কার জিতে নেন তারা।
এর আগে অলাভজনক সংস্থা আইডিএআর- জেরুসালেমের বৈরুত বন্দর নতুন করে তৈরির জন্য প্রকৌশল নকশার আহ্বানে ১২ টির বেশি দেশের প্রকৌশলীদের দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন।
১৭ মে প্রতিযোগিতায় পশ্চিম তীরের বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট চার প্রকৌশলী আলা আবু আওয়াদ, মাইস বনি আওদা, দিয়ানা আনদোনিয়া ও মাজিদ আল-মালকির ‘দ্য আফটারম্যাথ : এ প্রডাক্টিভ বৈরুত’ (পরবর্তী : উৎপাদনশীল বৈরুত) শীর্ষক নকশাটি সর্বশেষ ১৩ প্রতিযোগী দলকে হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট তারিখে লেবাননের বৈরুত বন্দরে ১২ নম্বর ওয়্যারহাউজ গুদামে বিস্ফোরণের ফলে দুই শ’র বেশি মানুষ নিহত হন, আহত হয়েছিলেন ছয় হাজার মানুষ। এ বিস্ফোরণে বহু আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা ধ্বংস হয়।
প্রতিযোগিতায় রুশ প্রকৌশলীদের দল দ্বিতীয় পুরস্কার পায়। ইতালির প্রকৌশলীদের দল পেয়েছে তৃতীয় পুরস্কার।
আল-মনিটরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিজয়ী দলের পক্ষ থেকে মাজিদ আল-মালকি বলেন, ‘আমাদের স্থাপত্য প্রকল্পটি একটি নতুন দর্শন ও চিন্তা নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে বৈরুত বন্দর একটি উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় শহরে পরিণত হবে। আমাদের এ স্থাপত্য পরিকল্পনায় এ শহরটি তার ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈরুত বন্দরের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থাকা স্টিল, কাঠ ও কাচগুলোকে এ শহরটির পুনর্নিমানে আবারো ব্যবহার করা হবে। এছাড়া আমাদের এ পরিকল্পনা মতে, আমরা এ শহরটিকে এমনভাবে নির্মাণ করব যাতে করে এ শহরটির স্থানীয় অর্থনীতি অগ্রসর হয়। অন্যসব স্থাপত্যের সাথে এখানে ওয়ার্কশপ, উৎপাদন এলাকা, ভোকেশনাল ও কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে।’
এছাড়া আবাসন ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্যও স্থাপনা নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।
# সূত্র : ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম