দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ওয়ার্ড কাউন্সির জিন্নাত আলী অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র, ভদ্র এবং জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ রোববার (৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর ও হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলীর নামাজে জানাজা পূর্ব এক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এই মন্তব্য করেন।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, “জিন্নাত আলী প্রবীণ আওয়ামী পরিবারের সুযোগ্য সন্তান, রজব আলীর সুযোগ্য সন্তান। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র, ভদ্র ও জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তাঁর পিতার আদর্শ, তাঁর পিতার কর্ম পরিপূর্ণভাবে ধারণ করা এবং হাজারীবাগের উন্নয়নের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি অকালেই আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন।ছবি- কাউন্সিলর জিন্নাত আলীর নামাজে জানাজা
২০০৮ সাল থেকে প্রয়াত জিন্নাত আলীর সাথে সুসম্পর্ক ছিল জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এই দীর্ঘ সময়ে কারো সাথে কখনোই জোরে কথা বলতে, রাগারাগি করতে আমি তাঁকে দেখিনি। সকলের সাথে মৃদুস্বরে ভদ্র ভাষায় কথা বলতেন। ‘না’ বললে না-টাও শোনা যেতো না, তিনি এভাবেই কথা বলতেন। তাঁর মৃত্যুতে আজ আমরা শোকাহত। হাজারীবাগ তার এক কৃতি সন্তানকে হারালো, অভিভাবককে হারালো, দল নেতাকর্মী নিবেদিত প্রাণ এক নেতাকে হারালো।”
মেয়র শেখ তাপস আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “হাজারীবাগ আসলে মনটা ভরে যায় কিন্তু এভাবে প্রিয় মানুষের জানাজায় আসাটা খুব কষ্টকর।”
ডিএসসিসির মেয়র মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমরা সবসময় এই আওয়ামী লীগ পরিবারের পাশ থাকব এবং পরিবারটি যেন কখনোই অভিভাবকহীন মনে না করে সেজন্য আমরা সদা সজাগ থাকব।”
জানাজা শেষে মেয়র শেখ তাপস মরহুমের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির অন্যান্যের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী জানাজায় অংশ নেন।
#