দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক খােরশেদ আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে রােহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজারে ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভােটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৬ জুন) দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বাকি তিন আসামি ঘটনার সময় চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী ছিলেন। তারা হলেন- মাহফুজুল ইসলাম, রাসেল বড়ুয়া ও মাে. মােস্তফা ফারুক।
জানা গেছে, ২০১৫ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছিলেন আসামি খোরশেদ আলম। তার দায়িত্ব পালনকালীন একটি ল্যাপটপ মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কাজ শেষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ল্যাপটপটি ফেরত দেন। কিন্তু ল্যাপটপ ফেরত পাওয়ার পর এটা আর জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা হয়নি।
ওই ল্যাপটপ থেকে রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভােটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ল্যাপটপ জমা না হওয়ার বিষয়টি জেনেও কোনোরকম ব্যবস্থা নেননি খোরশেদ আলম। আর ল্যাপটপ গায়েব ও অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পুরো কাজটি করেন মাহফুজুল ইসলাম, রাসেল বড়ুয়া ও মােস্তফা ফারুক।
এজাহারে আরও বলা হয়, বন্ধুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত ও তার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) থাকা সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম। ২০১৯ সালে ওই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। প্রতিবেদনে তিনি চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ল্যাপটপ গায়েব হওয়ার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আসামি খোরশেদ আলম ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালীন তার অধীনস্থ তিন কর্মচারী রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছেন। বিষয়টি জেনেও অবৈধভাবে লাভবান হওয়ায় তিনি অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তাই তারা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। #